সাহিত্যালয়
সাহিত্য সম্পর্কীয় সকল উপাদানের মিলনমেলায় আপনাকে স্বাগতম। বাংলা সাহিত্যের নতুন নতুন সংগ্রহের সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
সোমবার, ১ জুন, ২০২০
যাঁতাকল
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯
বড়লোক-ছোটলোক
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯
সলিল স্বপ্নে তুমি
বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯
তোমায় প্রথম দেখায় ভালোবাসিনি
তোমায় প্রথম দেখায় ভালোবাসিনি
সাইফুল ইসলাম মজুমদার
অামি প্রথম দেখাতেই তোমায় ভালোবাসিনি।
প্রতিদিন একটু একটু করে তোমায় দেখেছি, অার অাঁধটু অাঁধটু করে চিনেছি।
তোমার অধরের রঙের বদলে তার হাসির দিকে দেখেছি, তোমার বাকা ঠোঁট কে ভালোবেসেছি।
বিশ্বাস করো, ব্যাথা পেয়ে কুঁকিয়ে উঠা তোমার কুচকানো মুখ দেখে হাসিনি,
কারন তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।
তোমার চোখের কালো কাজল খুজিনি কখনো,
দুষ্টুমিতে ভরা চোখের ভাষা বুঝতে চেয়েছি শুধু।
বিশ্বাস করো, কখনো তোমার চৌকোনা করে কাটা ভ্রমর খুজিনি,
কারন তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।
রঙমাখা চেহারার রুপের অাগুনে পুড়িনি কখনো অামি,
খুবই সাধারণ তুমি, অামার কাছে অনেক বেশী দামী।
রুপের জ্বালা কয়দিন থাকে অামায় বলতে পারো ?
রাতের অাধারের ঘুমন্ত তোমায় লাগবে অামার ভালো।
একদিনের এক দ্বিপ্রহরে তোমার রুপে অামি পাগল হইনি।
জেনে রেখো তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।
বাতাশে ভেসে বেড়ানো তোমার এলোচুলে মুগ্ধ হয়েছি,
দূর হতে তাকিয়ে তাতে স্নিগ্ধতা খুঁজেছি।
তেলে মাখা খোপা করা ঘোছানো চুল তো কখনো খুঁজিনি!
বিশ্বাস কর প্রেয়সী তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।
কভু তাকাইনি লোভাতুর দৃষ্টিতে তোমার পুরু বুকে,
করিনি স্পর্শ তোমার কোমর প্রেমাবেগের সুখে।
ভাবিনিকো কখনো তোমার পেটে অাছে কিনা মেদ,
অামার দৃষ্টি করেনি কভু তোমার অাব্রু ভেদ।
মনের সোন্দর্য খুঁজেছি অামি জ্বালময়ী লাবন্য খুঁজিনি,
কারন তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।
রুপ জৌলুসে ঝলসানো প্রেম রুপের সাথেই শেষ হয়,
মনের সাথে মনের মিলন চিরকাল বেঁচে রয়।
তোমার অামার ভালোবাসা এতটা ঠুনকো নয়,
দু-চার দিনের শুকনো বাতাশে তা হয়ে যাবে ক্ষয়।
তোমার অামি মন খুঁজেছি, বহিরাবরণ খুজিনি।
মনে রেখো প্রিয়া তোমায় প্রথম দেখায় অামি ভালোবাসিনি।।
২০ই জুন, ২০১৯
জামালপুর কমিউটার ট্রেন
রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও বঙ্গ -বসন্তের সম্ভাবনা
##বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও বঙ্গ -বসন্তের সম্ভাবনা##
অামি কোন ইতিহাসবিদ নই, নইবা কোন সাংবাদিক বা রাজনৈতিক। দেশের বাকি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সাধারণ মানুষের একজন।
যখন সাধারণ জনগনের অংশ হিসেবে নিজেকে দাবী করছি, সেহেতু সাধারণ জনগনের সুখ দুঃখ অামাকে নাড়া দেয় একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে। অামাদের বাঙাল দেশের ৯৮% বাঙালী, এর মধ্যে ২% বিহারী, চট্রগ্রামের পাহাড়ী উপ-জাতী ও সমতলের সব মিলিয়ে ১৩ টি উপজাতী।
সমস্ত জনসংখ্যার ৭৮.৬% বসবাস করে গ্রামাঞ্চলে। গ্রামের মোট ৬০% জনগন এবং শহরের ১১% জনগন সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। অাজ এই কৃষির সাথে সম্পৃক্ত সমসাময়িক তিনটি ঘটনা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি।
অামরা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেখছি যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা অাত্নহত্যা করছে, কৃষিকাজ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং নিজের চাষকৃত ধানে অাগুন দিচ্ছে!! [১] যে মানুষগুলো মাথার ঘাম জমিনে ফেলে টাটকা রোদ মাথায় নিয়ে সোনালী ধান ফলিয়েছে সে মানুষগুলো এমন ধ্বংসাত্নক কাজ কেন করলো বা করছে???
কারন অামরা সকলেই এতদিনে জেনে গেছি, সেটা হলো মূল্য। কারন তাদের কষ্টের মূল্য অামরা সারাদেশের বাকি মানুষরা দিচ্ছি না। তাদের ফলিত ধান কেটে বাড়িতে অানতে যে টাকা লাগবে সেটাই উঠানো যাবে না ধান বিক্রয় করার পর। বাকি রয়েছে মহাজনের ধারের টাকা পরিশোধের চাপ!! অাছে পরিবার নিয়ে বাছার চিন্তা!! অাপনাদের সভ্য সমাজের শিক্ষিত জনগন যেখানে সামান্য প্রেশার নিতে নাকানি চুবানি খায় সেখানে কৃষকদের ধানে অাগুন দেয়া দোষের কিছু নয়!! তারা নিজের হাড় ভেঙে অাপনাকে খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করতে যাবে কেন??
অবাক করার বিষয়, তারা সেটা বহু অাগে থেকেই করে অাসছে, কিন্তু এখন অার পারছেনা বলে ধানে অাগুন দিয়েছে৷ শহুরে অান্দোলন কারীদের মতো পরের সম্পদ ধ্বংস করে নয়, নিজের!!
অাজ এ লজ্জা কাদের? অামাদের, যারা অামরা নীতি নির্ধারন করি ও দেশ চালাই। এহেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি মহৎ কাজ করেছে, তাদের সকল কর্মীদের শারিরিক ভাবে দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বলেছে। এটি নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ, কারন একজন ছাত্র যে, সে টাকা কিংবা ক্ষমতা দিয়ে সাহাজ্য করার সামর্থ রাখে না। শারিরিক ভাবে রাখতে পারে, সেটা একটি ছাত্র সংগঠন করেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে অাপনার মানসিক সমস্যা অাছে!
কিন্তু ফিরে অাসি মূল কথায়, কারন এটা কোন সমাধান ই নয়!! ছাত্ররা এখন ঈদের ছুটিতে নিজের ঘরে না থেকে না হয় পরের ধান কাটলো, কিন্তু তারা সারা বছর পরের কাজ করবে না৷ এটাই স্বাভাবিক!! কিন্তু সারা বছর অামাদের ভাত খেতে হয় এবং কৃষকদের ও তা চাষ করতে হয়। অতএব দরকার স্থায়ী সমাধান!!
সমাধান করতে হলে প্রথমেই সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে, কি কারনে এমনটা হচ্ছে৷ ভোক্তারা ধান খায়না, খায় চাল। চালের দাম সময়ের সাথে সাথে বাড়লেও বাড়েনি ধানের দাম। তাহলে চাল ও ধানের মাঝে যে দামের পার্থক্য সেই টাকা টা যাচ্ছে কোথায়??
হ্যাঁ, সেটা যাচ্ছে মধ্যস্থ ব্যাবসায়ী দের হাতে। তারা চাল এবং ধানের মাঝে দামের সমবন্টনের বদল রেখে দিচ্ছে নিজেদের পকেটে। কিন্তু পকেট তো একা থাকবে না, তার সাফোর্ট দরকার। সেটা দিচ্ছে একটা বড় মাপের রাজনৈতিক মহল। অর্থাৎ, সাধারন ভোক্তা এবং সাধারন কৃষকের সমস্ত দুরঅবস্থার জন্য দায়ী সেই মধ্যস্থ কমিউনিটি। এখন এই চরম সমস্যার সমাধান করতে হলে তাদের হাত ভেঙে দিতে হবে সঠিক ও কার্যকরী নীতির মাধ্যমে নয়তো একটা সময় সব জায়গায় সামঞ্জস্যতার অভাবে বাংলাদেশ অার দেশ থাকবেনা, হয়ে যাবে মৃত্যুপুরি। অার সে মৃত্যুপথের যাত্রি হতে হবে সবাইকে, এমনকি যারা এখন এই অবস্থার জন্য দায়ী তারাও!!
অারেকটা ব্যাপার দুদিন ধরে সংবাদপত্রে দেখছি, যে টাকার অভাবে এক পিতা তার সন্তানদের হত্যা করেছে। এবং নিজেই বলেছে যে অামি ই হত্যা করেছি!! [২]
কি সাংঘাতিক ব্যাপার!!
তৃতীয় নাম্বার ঘটনা, যশোরে ঈদের কাপড় না দিতে পেরে দুই সন্তান ও মা নিজে বিষ খেয়ে অাত্বহত্যা করেছে! [3]
এই ব্যাপারে যদি সেই মা কে ধিক্কার দিতে চান তবে অাগে অামাদের নিজেদের ধিক্কার দিতে হবে। কারন লজ্জা অামাদের অামরা অামাদের জনগনের জন্য নিরাপদ ও মৌলিক চাহিদার যোগান দিতে পারি নি!! পারছিনা!!
একবার ভেবে দেখেছেন দেশ কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে? হ্যাঁ, ওই যে মৃত্যুপুরীর কথা বল্লাম? তার ই বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে!
অতএব, এই বাংলাদেশে অারব বসন্ত শুরু করতে না চাইলে এখনি ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করছি দ্বায়ীত্বশীল দের। নইলে অাজ পিতা তার সন্তানকে হত্যা করেছে খাবার দিতে না পেরে কাল যে বঙ্গ-বসন্তের সূচনা করার জন্য কেউ নিজের গায়ে অাগুন দেবে না তার নিশ্চয়তা কি?
সাইফুল ইসলাম মজুমদার
যন্ত্রকৌশল ৩০ তম ব্যাচ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
ঘটনাসূত্রঃ
১. https://bit.ly/2woPlW6
২. https://bit.ly/2EyV2p1
৩. https://bit.ly/2MciFKw
তারিখঃ ২৮/০৫/২০১৯
বুধবার, ২২ মে, ২০১৯
রাগের ভাগ
ললাট ভরা নীলের রেখা
জমাট বাঁধা ঠোঁট,
এলোকেশের ভরা জোয়ারে
চোখ বেঁধেছে জোট।
অভিমানের ভরা মনে, কিসের এত রাগ?
ইচ্ছে হলে দিতে পার, অামায় একটু ভাগ!! 😄
২২/০৫/২০১৯
শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৯
The Ways Of Think And Act
Translate
কোন ধরনের লেখা পড়বেন?
- ইতিহাস (1)
- ছড়া (6)
- ছোট গল্প (6)
- দর্শন (1)
- প্রবন্ধ (2)
- প্রেম কাব্য (11)
- বিদ্রোহী কবিতা (12)
- রহস্য উপন্যাস (1)
- শুধুই কবিতা (23)
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন (5)
- Philosophy (2)