শনিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কপিন বরাদ্দ পথে

কফিন বরাদ্দ পথে
অয়ন্ত ইমরুল

এখন,
বিদ্যুৎ-মেঘবালিকার মন পরখ করেই মেঘের
আড়ালে তিষ্ঠ হয়।
কৃষ্ণ রাখালের বাঁশিতে নেই কোন রাধাসুর,
চারপাশে সহিংস হলুদ আগুন;
চোখে লেপ্টে থাকে মারাত্মক উৎকন্ঠা,
যে কৃষক কুড়াতে চেয়েছিল
মধ্যরাতে চাঁদবৃষ্টির ফুলকি তার
মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছে পেট্টোলবোমার
গ্যাস।

যে শিশু মায়ের স্তনে ঠোঁট গুঁজে দুধ পান
করবে বলে উদগ্রীব ছিল তার চোখে এখন
বিরাট রাজ্যের ঘুম।

বার্ণ ইউনিটের অবজারভেশন
রুমে কাতরাচ্ছে পোড়ামুখ গুলো।
ভোররাতে-নৈঃশব্দ্যের মহাসড়ক
মাড়িয়ে গন্তব্যে না ফিরে যদি নৈশকোচটি
ধরে নিয়ো,তোমার চাঁদমুখ-কফিন বরাদ্দ পথ
হেঁটেই বাড়ী ফিরবে,তুমি খুঁজে নিও
শসনাক্তকরণ চিহ্নক।
মনে রেখো,একদিন ভোরের
অনুকূলে থাকবে রোদের আবহ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন